-প্রিয় মানুষজন আপনাদের হুশ ফিরিয়ে আনুন মানুষের পরিচয় দিন নিজেকে বাঁচান,পরিবারকে বাঁচান,সমাজকে বাঁচান এবং দেশকে বাঁচান।
আজকের দুর্যোগপূর্ণ সময় মোকাবেলায় আইন করে আপনাদরকে কেন ঘরে রাখতে হবে?
দুঃখজনক আজকের এই প্রতিকূল অবস্থাও উনাদের মাঝে বোধ সৃষ্টি হচ্ছে না!
“আপনাগো কাতারে আইলাম করোনা-টরোনা কিছু না
তয় মিয়া ‘ভাইরাস’ নামক মারন অস্ত্র থাইকা নিজেগোরে রক্ষার লাগি কিতা অস্ত্র আছে?”
করোনা কিন্তু ৭১ এর গেরিলা যুদ্ধ কিংবা ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের মতো না।
শত্রু সামনে থেকে অথবা পিছন থেকে যেদিক থেকেই আসুক মরবো বা মারবো এই নীতিতে যুদ্ধ করতে পারবেন।
কিন্তু,
-যখন শত্রু অদৃশ্য দেখাই যায়না তখন কি করবেন?
-আপনার হাত থেকে মুখ, মুখ থেকে ফুসফুস তারপর বুঝে ওঠার আগে ইন্না….
“দুর্ভিক্ষ পাইছেন যে খাবারের অপর্যাপ্ততা?”
-যদি কিছুই না পান কয়েকদিন পানি খেয়ে কাটিয়ে দিবেন?
আজকের পরিস্থিতি সামাল না দিতে পারলে মরবো বা মারবো নীতি অথবা দুর্ভিক্ষ দেখার আগেই আপনাকে আপনার সঙ্গী-সাথী সহ ওপারে বিদায় জানানোর লোকও খুঁজে পাওয়া মুশকিল!
নিজেকে/নিজেদেরকে,
গ্রাম,মহল্লা,পাড়া,সেক্টর,রোড,থানা,উপজেলা,জেলা,বিভাগ সর্বোপরি দেশ নিজ দায়িত্বে নিজেদের বন্ধ করতে হবে (১৪৪ বুঝিনা লকডাউন বুঝিনা) বাংলা ভাষায় অকেজো করে রাখতে হবে। যেমন নিজেদেরকে রক্ষায় ৭১’রে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিজের কালভার্ট- ব্রিজ গুলোতে নিজেরা বোমা মেরেছিলেন, হ্যাঁ আজকের দিনে নিজেদের সম্পদ ক্ষতি করে নয় বরং সেচ্ছায় যোগাযোগ বন্ধ রাখুন বাসায় থাকুক। কেউ আপনাকে হামলা করবে না, বরং নিজেকে নিজের হামলা করা থেকে বাঁচতে সাহায্য করুন।
সবকিছু বন্ধ রাখুন! বন্ধ রাখুন! বন্ধ রাখুন!
মহান রাব্বুল আল-আমীন সাড়া পৃথিবীকে করোনা নামক মহামারী থেকে রক্ষা করুন,আমিন।